তিব্বে নববীর পরিচয়:
আবূ হুরাইরা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্ এমন কোন রোগ পাঠাননি যার আরোগ্যের ব্যবস্থা দেননি।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৬৭৮ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আমাদেরকে আগে জানতে হবে তিব্বে নববী তথা রাসূল ﷺ এর চিকিৎসা পদ্ধতি কত প্রকার ও কি কি?
ইমাম ইবনু কাইয়ুম রহিমাহুল্লাহ বলেন,
وكان علاجه ﷺ للمرض ثلاثة أنواع أحدها: بالأدوية الطبيعية. والثاني: بالأدوية الإلهية. والثالث: بالمركَّب من الأمرين.
রাসূল ﷺ এর চিকিৎসা পদ্ধতি ছিলো তিন প্রকার:
১/ প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল উপাদান ব্যবহার করে চিকিৎসা করা।
২/ ইলাহি চিকিৎসা তথা রুকইয়াহ শারইয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা করা।
৩/ প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল উপাদানের ব্যবহার এবং ইলাহি চিকিৎসা তথা রুকইয়াহ শারইয়াহ উভয় পদ্ধতির সমন্বয় করে চিকিৎসা করা।
আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে খুবই সংক্ষেপে একটু আলোকপাত করছি।
রাসূল ﷺ এর চিকিৎসা পদ্ধতি ছিলো তিন প্রকারে বিভক্ত:
১/ প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল উপাদান ব্যবহার করে চিকিৎসা করা। যেমন: রাসূল ﷺ জ্বর হলে তার চিকিৎসা ঠান্ডা পানি দিয়ে করতে বলেছেন,
[عن عبد الله بن عمر:] الحُمّى مِن فَيْحِ جَهَنَّمَ فأبْرِدُوها بالماءِ..
صحيح البخاري ٣٢٦٤ • [صحيح]
পেট ব্যথা বা ডায়রিয়ার সমস্যায় মধু পান করানোর মাধ্যমে চিকিৎসা করতে বলেছেন,
[عن أبي سعيد الخدري:] أنّ رَجُلًا أتى النبيَّ ﷺ فقالَ: أخِي يَشْتَكِي بَطْنَهُ، فقالَ: اسْقِهِ عَسَلًا ثُمَّ أتى الثّانِيَةَ، فقالَ: اسْقِهِ عَسَلًا ثُمَّ أتاهُ الثّالِثَةَ فقالَ: اسْقِهِ عَسَلًا ثُمَّ أتاهُ فقالَ: قدْ فَعَلْتُ؟ فقالَ: صَدَقَ اللهُ، وكَذَبَ بَطْنُ أخِيكَ، اسْقِهِ عَسَلًا فَسَقاهُ فَبَرَأَ..
صحيح البخاري ٥٦٨٤ • [صحيح]
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললঃ আমার ভাইয়ের পেটে অসুখ হয়েছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি দ্বিতীয়বার আসলে তিনি বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। সে তৃতীয়বার আসলে তিনি বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি পুনরায় এসে বললঃ আমি অনুরূপই করেছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ সত্য বলেছেন, কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেট অসত্য বলছে। তাকে মধু পান করাও। সে তাকে মধু পান করাল। এবার সে আরোগ্য লাভ করল।
উকুনের যন্ত্রণা এবং চুলকানি থেকে উপশমের জন্য রেশমের কাপড় ব্যবহার করতে বলেছেন,
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
[عن أنس بن مالك:] أنّ الزُّبَيرَ بنَ العَوّامِ وعبدَ الرحمنِ بنَ عَوفٍ شَكَوا إلى رسولِ اللهِ ﷺ القَملَ، فرَخَّصَ لهما في قميصِ الحريرِ في غَزاةٍ لهما.. أخرجه البخاري (٢٩١٩)، ومسلم (٢٠٧٦)
আবদুর রাহমান ও যুবায়র (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উকুনের অভিযোগ করলে তিনি তাদের রেশমী পোষাক পরিধানের অনুমতি দেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি যুদ্ধে তাদের শরীরে তা দেখেছি।
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
[عن أنس بن مالك:] أنّ النبيَّ ﷺ رَخَّصَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بنِ عَوْفٍ، والزُّبَيْرِ في قَمِيصٍ مِن حَرِيرٍ، مِن حِكَّةٍ كانَتْ بهِما..
صحيح البخاري ٢٩١٩ • [صحيح]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আবদুর রাহমান ইবনু আওফ (রাঃ) ও যুবায়র (রাঃ)-কে তাদের শরীরে চুলকানি থাকায় রেশমী জামা পরিধান করতে অনুমতি দিয়েছিলেন।
মাথা ব্যথায় মেহেদী পাতা ব্যবহার করা, হার্টের রোগের চিকিৎসায় মদিনার আজওয়াহ খেজুর ব্যবহার করার কথা বলেছেন। এছাড়াও সোনা পাতা, কালোজিরা, কুসতাল হিন্দি, হিজামা ইত্যাদি এসব প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল উপাদান ব্যবহার করে চিকিৎসা করার কথা রাসূল ﷺ এর হাদিসে রয়েছে।
২/ ইলাহি চিকিৎসা তথা রুকইয়াহ শারইয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা করা। যেমন: বদনজরের চিকিৎসায় দুআ পাঠ করা, বিচ্ছুর কামড়ে সূরা ইখলাস, ফালাক এবং নাস পাঠ করা, ব্যথার স্থানে হাত রেখে তিনবার বিসমিল্লাহ এবং একটি নির্দিষ্ট দুআ সাতবার পড়তে বলা। বদনজরে আক্রান্ত হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে জিবরাইল আঃ এসে “বিসমিল্লাহি আরক্বীক” এই দুআ পাঠ করে রাসূল ﷺ এর রুকইয়াহ শারইয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা করা ইত্যাদি।
এটার স্বপক্ষে কিছু হাদিস বর্ণনা করছি—
১/ ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْفُثُ عَلَى نَفْسِهِ فِي الْمَرَضِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ، فَلَمَّا ثَقُلَ كُنْتُ أَنْفِثُ عَلَيْهِ بِهِنَّ، وَأَمْسَحُ بِيَدِ نَفْسِهِ لِبَرَكَتِهَا. فَسَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ كَيْفَ يَنْفِثُ قَالَ كَانَ يَنْفِثُ عَلَى يَدَيْهِ، ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا وَجْهَهُ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রোগে ওফাত পান সেই রোগের সময়ে তিনি নিজ দেহে ’মু’আব্বিযাত’ পড়ে ফুঁক দিতেন। অতঃপর যখন রোগের তীব্রতা বেড়ে গেল, তখন আমি সেগুলো পড়ে ফুঁক দিতাম। আর আমি তাঁর নিজের হাত তাঁর দেহের উপর বুলিয়ে দিতাম। কেননা, তাঁর হাতে বারাকাত ছিল। রাবী বলেনঃ আমি যুহরীকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কীভাবে ফুঁক দিতেন? তিনি বললেনঃ তিনি তাঁর দু’ হাতের উপর ফুঁক দিতেন, অতঃপর সেই দু’ হাত দিয়ে আপন মুখমন্ডল বুলিয়ে নিতেন। [সহীহ বুখারী ৫৭৩৫]
২/ ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
قَالَتْ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ أَمَرَ أَنْ يُسْتَرْقَى مِنَ الْعَيْنِ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আদেশ করেছেন কিংবা তিনি বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করেছেন, নযর লাগার জন্য যেন রুকইয়াহ চাওয়া হয়।
[মুসলিম ৩৯/২১, হাঃ ২১৯৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৪)
৩/ উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى فِي بَيْتِهَا جَارِيَةً فِي وَجْهِهَا سَفْعَةٌ فَقَالَ “ اسْتَرْقُوا لَهَا، فَإِنَّ بِهَا النَّظْرَةَ ”.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে একটি মেয়েকে দেখলেন যে, তার চেহারা মলিন। তখন তিনি বললেনঃ তার জন্য রুকইয়াহ চাও, কেননা তার উপর নযর লেগেছে।
[মুসলিম ৩৯/২১, হাঃ ২১৯৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৫)
৪/ ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত,
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُعَوِّذُ بَعْضَ أَهْلِهِ، يَمْسَحُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى وَيَقُولُ “ اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ، اشْفِهِ وَأَنْتَ الشَّافِي، لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا ”.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন কোন স্ত্রীকে সূরা নাস ও সূরা ফালাক পড়ে ডান হাত দিয়ে বুলিয়ে দিতেন এবং পড়তেনঃ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর, তুমিই আরোগ্য দানকারী, তোমার আরোগ্য ছাড়া অন্য কোন আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য দাও, যা কোন রোগ অবশিষ্ট থাকে না।
(সহীহ বুখারী- ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৯)
৫/ ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত,
أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَرْقِي يَقُوْلُ امْسَحْ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ بِيَدِكَ الشِّفَاءُ لاَ كَاشِفَ لَه“إِلاَّ أَنْتَ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকইয়াহ করতেন। আর এ দু’আ পাঠ করতেনঃ ব্যথা দূর করে দাও, হে মানুষের পালনকর্তা। আরোগ্যদানের ক্ষমতা কেবল তোমারই হাতে। এ ব্যথা তুমি ছাড়া আর কেউ দূর করতে পারে না।
(সহীহ বুখারী- ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২০)
৩/ প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল উপাদানের ব্যবহার এবং ইলাহি চিকিৎসা তথা রুকইয়াহ শারইয়াহ উভয় পদ্ধতির সমন্বয় করে চিকিৎসা করা। যেমন: রাসূল ﷺ এর নিজের শাহাদাত আংগুলে মুখের লালা বা থুতু নিয়ে মাটিতে লাগিয়ে পরে তা আক্রান্ত স্থানে লাগানো এটা প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল উপাদান বা ওষুধ আর আক্রান্ত স্থানে লাগানোর সময় দুআ পাঠ করা ইলাহি ওষুধ তথা রুকইয়াহ শারইয়াহ। বিচ্ছুর কামড়ে পানির সাথে লবণ মিশিয়ে তা আক্রান্ত স্থানে লাগানোটা প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল উপাদান বা ওষুধ আর সূরা সূরা ইখলাস, ফালাক এবং নাস পাঠ করাটা ইলাহি ওষুধ তথা রুকইয়াহ শারইয়াহ। জ্বীনে আক্রান্ত ব্যক্তির বুকে বা পিঠে আঘাত করা, মুখে থুতু নিক্ষেপ করা বা লালা দেওয়া এগুলো প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল উপাদান বা ওষুধ। আর أخرج/أخسأ يا عدو الله أنا رسول الله তথা আল্লাহর দুশমন বের হয়ে যাও আমি আল্লাহর রাসূল এটা হলো ইলাহি ওষুধ তথা রুকইয়াহ শারইয়াহ।
আম্মাজান আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা থেকে বর্ণিত
أنّ رَسولَ اللهِ ﷺ كانَ إذا اشْتَكى الإنْسانُ الشَّيْءَ منه، أوْ كانَتْ به قَرْحَةٌ، أوْ جُرْحٌ، قالَ: النبيُّ ﷺ بإصْبَعِهِ هَكَذا، ووَضَعَ سُفْيانُ سَبّابَتَهُ بالأرْضِ، ثُمَّ رَفَعَها باسْمِ اللهِ، تُرْبَةُ أرْضِنا، برِيقَةِ بَعْضِنا، لِيُشْفى به سَقِيمُنا، بإذْنِ رَبِّنا. قالَ ابنُ أبِي شيبَةَ: يُشْفى وقالَ زُهَيْرٌ لِيُشْفى سَقِيمُنا
صحيح مسلم ٢١٩٤
যখন কোন ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিজের কোন অসুস্থতার অভিযোগ করত অথবা (তার দেহে) কোন ফোঁড়া কিংবা ক্ষত হত, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ আঙ্গুল নিয়ে এ রকম করতেন। (হাদীসের রাবী) সুফ্য়ান তাঁর শাহাদত আঙ্গুলটিকে যমীনের উপর রাখার পর উঠালেন।
(অর্থাৎ তিনি এভাবে মাটি লাগাতেন।)
অতঃপর দো’আটি পড়তেনঃ ’বিসমিল্লাহি তুরবাতু আরদ্বিনা, বিরীক্বাতি বা’যিবনা, য়্যুশফা বিহী সাক্বীমুনা, বিইযনি রাব্বিনা।’ অর্থাৎ আল্লাহর নামের সঙ্গে আমাদের যমীনের মাটি এবং আমাদের কিছু লোকের থুতু মিশ্রিত করে (ফোঁড়াতে) লাগালাম। আমাদের প্রতিপালকের আদেশে এর দ্বারা আমাদের রুগী সুস্থতা লাভ করবে।
এই হাদিসের প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ইমাম ইবনু কাইয়ুম রহিমাহুল্লাহ বলেন,
ومعنى الحديث: أنه يأخذ من ريق نفسه على إصبعه السبابة، ثم يضعها على التراب، فيعلق بها منه شيء، فيمسح به على الجرح، ويقول هذا الكلام، لما فيه من بركة ذكر اسم اللَّه، وتفويض الأمر إليه، والتوكل عليه، فينضم أحد العلاجين إلى الآخر، فيقوى التأثير
হাদিসের সারমর্ম হলো, মুখের লালা নিজ শাহাদাত আঙ্গুলে লাগিয়ে মাটিতে রাখবে, তখন মাটির কিছু অংশ আঙ্গুলে লেগে যাবে, তা সহ আঙ্গুলটি জখমে লেপন করবে ও মুখে আল্লাহর নামের কালেমা পড়বে যেহেতু তাতে বরকত রয়েছে। আর আরোগ্য লাভের বিষয়টি আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে তার উপর পূর্ণ ভরসা করবে। এই উভয় চিকিৎসা’ (তথা প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল উপাদান মাটি এবং রুকইয়াহ শারইয়াহ) একসাথে করার দ্বারা ওষুধের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া খুবই শক্তিশালী হয়ে যায়।
এখানে লক্ষ করুন ইমাম ইবনু কাইয়ুম রহিমাহুল্লাহ শাহাদাত আঙুল দিয়ে মুখের লালা এবং মাটি নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগানো এটাকে একটা স্বতন্ত্র চিকিৎসা পদ্ধতি বলেছেন এবং উক্ত হাদিসে বর্ণিত দুআ তথা রুকইয়াহ শারইয়াহকেও একটি স্বতন্ত্র চিকিৎসা বলে উল্লেখ করেছেন। উপরিউক্ত কথাগুলো ইমাম ইবনু কাইয়ুম রহিমাহুল্লাহ তার زاد المعاد বা الطب النبوي গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
মোটকথাঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানব দেহের শারীরিক এবং মানসিক চিকিৎসার জন্য যে যে পদ্ধতি অবলম্বন করার জন্য বলেছেন তার বর্ণিত পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থাকেই ‘তীব্বে নববী’ নামে আখ্যায়িত করা হয়।