রুকইয়াহ

কুস্তুল হিন্দি বা ইন্ডিয়ান কস্টাস সম্পর্কিত হাদিস, হাদিসের ব্যাখ্যা, উপকারীতা ও ব্যবহারবিধি…

কুস্তুল হিন্দি বা ইন্ডিয়ান কস্টাস সম্পর্কিত হাদিস, হাদিসের ব্যাখ্যা, উপকারীতা এবং ব্যবহারবিধি… কুস্তুল হিন্দি বা ইন্ডিয়ান কস্টাস সম্পর্কিত হাদিস সমূহ।

হাদিস নং-১

وقَالَ: إنَّ أمْثَلَ ما تَدَاوَيْتُمْ به الحِجَامَةُ والقُسْطُ البَحْرِيُّ. وقَالَ: لا تُعَذِّبُوا صِبْيَانَكُمْ بالغَمْزِ مِنَ العُذْرَةِ، وعلَيْكُم بالقُسْطِ.الراوي : أنس بن مالك | :صحيح البخاري الصفحة أو الرقم: 5696 [صحيح]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন চিকিৎসার শ্রেষ্ঠতম উপায় হল হিজামা এবং কুস্তে বাহরি। তোমরা তোমাদের বাচ্চাদেরকে জিহ্বার তালু টিপে কষ্ট দিও না। তোমরা কুস্ত গ্রহন করো। বুখারী -৫৯৯৬/মুসলিম -১৫৭৭

হাদিস নং-২

عَنْ أُمِّ قَيْسٍ بِنْتِ مِحْصَنٍ قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه يَقُوْلُ عَلَيْكُمْ بِهٰذَا الْعُودِ الْهِنْدِيِّ فَإِنَّ فِيهِ سَبْعَةَ أَشْفِيَةٍ يُسْتَعَطُ بِه مِنَ الْعُذْرَةِ وَيُلَدُّ بِه مِنْ ذَاتِ الْجَنْبِ.

উম্মে কায়স বিনতে মিহসান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী কারীম (ﷺ)– কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা ভারতীয় এই কস্টাস ব্যবহার করবে। কেননা তার মধ্যে সাত ধরনের চিকিৎসা (নিরাময়) রয়েছে। শ্বাসনালীর ব্যথার জন্য একে নাক দিয়ে টেনে নেয়া যায়। এবং প্লুরিসি দূর করার জন্যও তা সেবন করা যায়।সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৬৯২ হাদিসের মান: সহিহ

হাদিস নং-৩

جابر بن عبد الله قال دخل رسول الله صلى الله عليه وسلم على عائشه وعندها صبي يسيل منخراه دما فقال ما هذا فقالوا به العذرة اووجع في راسه فقال ويلكن لا تقتلن اولادكن ايما امراة اصاب ولدها عذرة اووجع في راسه فلتاخذ قسطا هنديا فلتحكه بماء ثم تسعطه اياه فامرت عائشه رضي الله عنها فصنع ذلك بالصبي فبرء.

জাবের বিন আব্দুল্লাহ বলেন রাসুল সা: আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘরে প্রবেশ করে তার কাছে একটি শিশুকে পেলেন যার নাক দিয়ে অনবরত রক্ত ঝরছে। তিনি বললেন এটা কি? তারা বলল: উজরা অথবা মাথায় যন্ত্রণা। তিনি বললেন: সাবধান! তোমরা তোমাদের বাচ্চাদেরকে হত্যা করিও না! যে মহিলার সন্তানের উজরা হয় অথবা মাথায় যন্ত্রণা হয় সে যেন কুস্তে হিন্দি গ্রহণ করে। তাকে পানির সাথে মিশিয়ে মুখ দিয়ে ঢেলে দিবে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এটি করতে আদেশ দিলেন অতঃপর বাচ্চাকে এভাবে করা হলে সে সুস্থ হয়ে গেল। মুসনাদে আহমদ-৩১৫/৩ সমস্ত রাবি সহীহ

⛔ হাদিসের কিছু শব্দের প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা।

🔅 উদুল হিন্দি (عود الهندي) হলো এক ধরনের সুগন্ধি কাষ্ঠ। যা হিন্দুস্তানে উৎপন্ন হয়ে থাকে। এবং তার স্বাদে কিছুটা তিক্ততাও রয়েছে।

🔅 ইউসতাআতু (يُسْتَعَطُ) যে ঔষুধ নাক দিয়ে (ধোঁয়া বা তেল হিসেবে) টেনে নেওয়া হয় তাকে (يستعط) বলে।এর পদ্ধতি হলো: কোথাও হেলান দিয়ে বসবে। এবং কাঁধের নিচে এমন কিছু রাখবে যা দ্বারা কাঁধ উঁচু হয়ে যায়। অতঃপর কস্টাস নাকে ফোটা আকারে দিবে। যাতে ব্রেন পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এর ফলে হাঁচির সাথে রোগটি বের হয়ে আসবে এবং সুস্থতা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।

•এ সম্পর্কে ইবনুল কাইয়িম রহিমাহুল্লা এভাবে বলেছেন: চিৎ হয়ে শুয়ে যাবে এবং দুই কাঁধের নিচে মাঝ বরাবর কিছু রাখবে। যাতে দোনো কাঁধ উঁচু হয়ে যায়। এবং মাথা নিচের দিকে চলে যায়। তখন ওষুধ ঢাললে একদম দেমাগ বা ব্রেন পর্যন্ত চলে যাবে এবং হাঁচির সাথে রোগটি বের হয়ে আসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রয়োজন হলে নাক দিয়ে ওষুধ টেনে নেওয়ার প্রশংসাও করেছেন। (কুস্ত বা কস্টাস এককভাবেও ব্যবহার করা যায় এবং অন্য উপাদানের মিশ্রণ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। নাক দিয়ে ধোঁয়া হিসেবেও ব্যবহার করা যায় এবং সরাসরি ড্রপ আকারেও নাকে দেওয়া যায়)

🔅 উজরাতুন (عذرة)অর্থাৎ নাক এবং কণ্ঠনালীর মাঝে সৃষ্ট ক্ষত। যার কারনে অত্যাধিক কফের সাথে রক্তও বের হয়। এটি ক্রনিক টনসিলাইটিস নামেও পরিচিত।

🔅ইউলাদ্দু (يلد)অর্থাৎ লাদ্দ হলো এক প্রকার ঔষধ, যা মুখের কোন একপাশে ঢেলে দেওয়া হয়। অর্থাৎ দুই চোয়ালের কোন একচোয়ালে। কিংবা কোন একপাশে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে ওষুধ মেখে দেওয়া হয়। এবং এর ফলে ব্যথা নিরাময় হয়ে থাকে।

🔅জাতুল জানব (ذات الجنب)এক ধরনের ব্যথা যা জামবে হয়ে থাকে। অর্থাৎ ত্বক, বুক এবং পাঁজরের হাড়ের মাঝে সৃষ্ট জমাটবদ্ধ ঘন বাতাস, যা ব্যথা তৈরি করে। এটি কে Pericarditis (পেরিকার্ডাইটিস) ও বলা হয় আবার প্লুরিসিও বলা হয়ে থাকে। এর কারণে কাশি এবং জ্বর দেখা দেয়। শ্বাস নেওয়ার সময় ফুসফুসে ব্যথা করে। কিংবা বলা হয়, জাতুল জাম্ব হলো, বুকের অভ্যন্তরে হওয়া একপ্রকার প্রদাহ। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়- ফুসফুসের ঝিল্লির উপর থাকা এক প্রকার প্রদাহ‌, যার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে এবং ব্যথা অনুভব হয়!

📚 তথ্যসূত্র: আদদুরারুস সানিয়্যাহ অ্যাপ: الباحث الحديثي

হাদিসের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাঃ

ইবনে হাজার আসকালানী রহিমাহুল্লাহ বলেন: হাদিসে সাতটি রোগের মধ্য থেকে দুটি রোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হয়তো হাদিসে সাতটিই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু রাবি সংক্ষেপ করেছেন। কিংবা শুধু দুটি রোগের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে তখনকার যুগে এই দুইটি রোগ দেখা দিতো বলে এবং বাকিগুলো ছিল না বলে।

🔸ডাক্তারগণ কুস্তুল হিন্দের বা কস্টাসের অনেক উপকারিতা উল্লেখ করেছেন যেমন—

♦️পেশাব এবং ঋতুস্রাবকে প্রবাহমান রাখে

♦️কৃমিনাশক

♦️বিষ এবং ঘন ঘন উঠা জ্বর নিবারণ করে

♦️পাকস্থলীকে স্বভাবিক রাখে

♦️সহবাসের আকাঙ্ক্ষা বাড়ায়

♦️অস্বাভাবিক আসক্তি দূর করে

♦️ চেহারার তামাটে ভাব দূরীভূত করে

🔸

ডাক্তারগণ সাতেরও অধিক রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কুস্তুল হিন্দির কথা উল্লেখ করেছেন অথচ হাদিসে মাত্র সাতটি রোগের চিকিৎসার কথা নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে এর ব্যাখ্যা কি? হাদিস ব্যাখ্যাকারগণ এর উত্তর দিয়েছেন এভাবে যে, ৭টি ওহীর মাধ্যমে জানা গিয়েছে আর অতিরিক্তগুলো অভিজ্ঞতার আলোকে জানা গেছে। ওহীর মাধ্যমে যা নিশ্চিত ভাবে জানা গিয়েছে তার ওপরই রাসূল ﷺ ক্ষান্ত থেকেছেন।

🔸উজরা হলো: কন্ঠনালীতে এক প্রকারের ব্যথা, যা প্রায়ই বাচ্চাদের হয়ে থাকে। কেউ বলেছেন, এটি কান এবং কন্ঠনালীর মধ্যবর্তী একটি ক্ষত বা নাক এবং কন্ঠনালীর আলসার।

🔸যাতুল জাম্ব হলো, মানুষের বুকের অভ্যন্তরে হওয়া একপ্রকার প্রদাহ। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে তার পরিচয় হলো- ফুসফুসের ঝিল্লির উপর থাকা প্রদাহ। যাকে বর্তমান মেডিকেলের ভাষায় প্লুরিসি বলা হয়।যাতুল জাম্ব কে কেউ কেউ বলেছেন এর উদ্দেশ্য হলো, কিডনির ব্যথা। কেউ কেউ বলেছেন, উদ্দেশ্য হলো, যক্ষ্মা রোগ।

🔸ইমাম ইবনু কাইয়ুম রহিমাহুল্লাহ বলেন, কুস্ত দুই প্রকার। একটি হলো সাদা তাকে কুস্তুল বাহরী বলে। আরেকটি হল হিন্দি তবে এটা অত্যধিক উষ্ণতা পূর্ণ আর সাদাটা একটু নরমাল। কিন্তু উভয়টির উপকারিতা অনেক।

* এ দুটিই কফ এবং সর্দি দূর করে এবং এটা পান করার দ্বারা যকৃত এবং পাকস্থলীর দুর্বলতা দূর করে।

* শিতলতা দূর করে।

*মৌসুমী জ্বর ভালো করে

* ফুসফুসের ব্যথা নিরাময় করে

* বিষক্রিয়ায় উপকারী

* পানি এবং মধুর সাথে মিশ্রণ করে লাগালে মুখের তামাটে ভাব দূর হয়।

* বিখ্যাত চিকিৎসক জালিনুস বলেন: এটি ধনুষ্টঙ্কার রোগে উপকার হয় এবং ঝিল্লির ব্যথা দূর করে।

📚 তথ্যসূত্র: ফাতহুল বারী, তিব্বে নববী। সোর্স: الاسلام سوال و جواب

♻️ কুস্ত আল হিন্দি যেসব রোগের জন্য কার্যকরী ঔষধ হিসেবে স্বীকৃত—

📍উচ্চ এবং নিম্নচাপের হরমোন ও গ্রন্থির ভারসাম্য বজায় রাখে।

📍জেনারেল টনিক। স্নায়ুর জন্য উপকারী।

📍রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

📍মস্তিষ্কের কোষের জন্য উপকারী

📍মূত্র বর্ধক

📍গ্যাস এবং বায়ু রোধক

📍রক্ত শোধক

📍অগ্ন্যাশয় সক্রিয় রাখে

📍হাই প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে

📍শিরাউপশিরা প্রসারণ কারী

📍জয়েন্টের সমস্যায় উপকারী

📍একটি শক্তিশালী এন্টি বায়োটিক

📍লিভার ও কিডনির জন্য উপকারী

📍এটি ধোঁয়ারূপে সর্দি দূর করে

📍সাইনাসের সমস্যা দূর করে

📍এসপারিনের পরিবর্তে রক্ত সঞ্চালন ঘটায়

📍রক্ত জমাট বদ্ধতা দূর করে

📍জীন শয়তানকে দূর্বল করতে কার্যকরী

📍থাইরয়েড গ্রন্থির নিয়ন্ত্রণ করে

📍ক্যান্সার নিরাময় করে

📍বন্ধ্যাত্ব, বারবার গর্ভপাত, বিলম্বিত গর্ভধারণে উপকারী

📍দুধের হোরমোন নিয়ন্ত্রণ করে

📍রক্ত স্বল্পতা- এনিমিয়া-র চিকিৎসা করে

📍কোলন ও কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায় কার্যকর

📍মূত্র ও মাসিক নিয়ন্ত্রক

📍ইরকুন নাসা/সায়াটিকার চিকিৎসা করে

♦️সতর্কতা: গর্ভবতী নারী এটি কখনো ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ তা গর্ভপাত ঘটায়। 📚 সূত্র: ইন্টারনেট

কিছু শারীরিক সমস্যার জন্য কুস্ত আল হিন্দের ব্যবহারবিধি—

♻️ এসিডিটি, পেট ফাঁপা এবং হজমের সমস্যায়

◽কস্টাস গুঁড়া এবং মধু। দুটি উপাদান এক চামচ পরিমাণ নিয়ে মিশিয়ে দৈনিক দুই বেলা খেতে হবে সকালে এবং রাতে খাবারের পর। এই রেসিপিটি এজমা, হাঁপানি এবং কাশির চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা যেতে পারে।

♻️ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কয়েকটি এলাচ এবং কস্টাস গুঁড়া সামান্য পরিমাণে মুখে দিয়ে চিবিয়ে খাবেন।

♻️ জ্বর এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আধা গ্রাম কস্টাস মধুর সাথে মিশিয়ে কয়েক মিনিট রেখে পরে খেয়ে নিন।

♻️ পিরিয়ড, পিরিয়ডের সময় ব্যথা এবং পিরিয়ডের অন্যান্য সমস্যার জন্য

◽এক থেকে দুই গ্রাম কস্টাস পাউডার মধু বা পানির সাথে মিশিয়ে দৈনিক দুই বার খাবেন ১৫ দিন।

♻️ জয়েন্ট ব্যথার জন্য

◽চার থেকে আট ফোঁটা কস্টাস অয়েল এক থেকে দুই চামচ নারকেল তেলের সাথে মিশাতে হবে। এই মিশ্রণটি ব্যথার জায়গায় ব্যথা কমে আসা পর্যন্ত লাগাতার মালিশ করতে হবে দৈনিক কমপক্ষে একবার।

♻️ ক্ষত নিরাময়ে ৪-৮ ফোঁটা কস্টাস তেল এক থেকে দুই চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশাতে হবে। দৈনিক এক বা দুইবার আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি মালিশ করতে হবে। ক্ষত ভালো না হওয়া পর্যন্ত এটি কন্টিনিউড করতে হবে।

♻️ মাথা ব্যথার জন্য

◽ ফুটন্ত গরম পানিতে ৪-৮ ফোঁটা কস্টাস তেল দিয়ে অতঃপর ৫-১০ মিনিট ঐ পানির ধোঁয়া নাক দিয়ে টেনে নিতে হবে। এটা দৈনিক এক থেকে দুইবার করতে হবে।

💠 সোর্স ৩০০ ডাক্তারের সমন্বয়ে গঠিত ওয়েব সাইট https://altibbi.com/%D9%81%D9%8A%D8%AF%D9%8A%D9%88%D9%87%D8%A7%D8%AA-%D8%B7%D8%A8%D9%8A%D8%A9

♻️ পেটের জাদু নষ্ট এবং শয়তানকে দূর্বল করতে কার্যকরী

◾ছোট এক চামচ কুস্তুল হিন্দির পাউডার এবং এক চামচ মধু এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিবেন। এটা ১০ থেকে ১৫ দিন কন্টিনিউ করতে হবে।

♻️ মধু এবং কস্টাস গুঁড়া মিশ্রণ করে লাগালে মুখের তামাটে ভাব দূর হয়।

♻️ শয়তান কে কষ্ট দিতেকয়লায় আগুন জ্বালিয়ে অথবা ইনসেন্স বার্নার বা ধুপদানীতে কস্টাসের গুঁড়া বা আস্ত খণ্ড তাতে রেখে দিয়ে এর থেকে যে ধোঁয়া উঠবে তা শয়তান কে কষ্ট দেয়ার নিয়তে নাক দিয়ে টেনে নিতে হবে। এটা দৈনিক দুইবার করবেন সকালে এবং মাগরিবের আগে বা পরে।

♻️ যাদের রেহেম বা আওরায় বা প্রাইভেট পার্টে জাদু এবং শয়তান থাকে তারা ঢিলেঢালা কাপড় পরে কাপড় ছড়িয়ে দিয়ে ধোঁয়ার নিচে দাঁড়িয়ে যাবেন। ধোঁয়া টি সম্পূর্ণ আওরা এবং রেহেমে পৌঁছবে। এতে ঐ স্থানে থাকা শয়তান কষ্ট পেয়ে দূর্বল হবে এবং জাদু নষ্ট করতে সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.